অনলাইনে জমির খতিয়ান অনুসন্ধান [২ মিনিটে]

আমাদের দেশ বর্তমানে ডিজিটাল খ্যাটি অর্জন করেছে। আমাদের দেশের প্রতিটি সেক্টরের কাজ ডিজিটাল করা হচ্ছে। সেই মোতাবেক আমাদের দেশের জমি সংক্রান্ত সকল সেবা অনলাইন করা হয়েছে। এখন থেকে যে কোন ব্যাক্তি অনলাইনে জমির খতিয়ান অনুসন্ধান করতে পারবে।


এছাড়াও এই সেবার মাধ্যমে আরও অনেক উপকার পাবে জমির মালিকগণ। যেমন- আর এস খতিয়ান অনুসন্ধান, eporcha gov bd খতিয়ান অনুসন্ধান, জমির খতিয়ান অনুসন্ধান, নামজারি খতিয়ান অনুসন্ধান, খতিয়ান অনুসন্ধান বি এস, অনলাইনে জমির খতিয়ান অনুসন্ধান, ভূমি মন্ত্রণালয় খতিয়ান অনুসন্ধান, খতিয়ান অনুসন্ধান এস এ, অনলাইন খতিয়ান অনুসন্ধান।


এই সেবাটি বাংলাদেশ ভূমি মন্ত্রণালয় প্রদান করে আসছে https://www.eporcha.gov.bd/ এই ওয়েব সাইটের মাধ্যমে।

    Eporcha gov bd কি কি সেবা প্রদান যাবে? 

    Eporcha gov bd এই ওয়েবসাইট প্রধানত ৩ ধরণের সেবা প্রদান করে। সেবা গুলো হল:

    ( ১ ) সার্ভে খতিয়ান

    ● আরএস
    ● বিএস
    ● সিএস
    ● আরএস
    ● এস এ
    ● দিয়ারা এবং
    ● পেটি 

    ২) নামজারি খতিয়ান

    ● আরএস
    ● বিএস
    ● সিএস
    ● আরএস
    ● এস এ
    ● দিয়ারা এবং
    ● পেটি 

    ৩) মৌজা ম্যাপ

    এই সেবা গুলো যে কোন ব্যাক্তি নিতে পারে। কিছু কিছু ক্ষেত্রে সেবা গুলো বিনামূল্যে প্রদান করে, কিন্তু বেশির ভাগ সেবার জন্য অর্থ প্রদান করতে হয়। আজকের এই আর্টিকেলে অনলাইনে জমির খতিয়ান অনুসন্ধান কিভাবে করতে হয়। কিভাবে পেমেন্ট করতে হয়, কিভাবে খতিয়ান হাতে পাওয়া যায় এছাড়াও যাবতীয় বিষয়ে আলোচনা করবো।

    খতিয়ান

    একটি মৌজার এক বা একাধিক ভূমির মালিকের সম্পত্তির বিবরণ সহ যে রেকর্ড জরিপ করে প্রস্তুত করা হয়েছে তাকে খতিয়ান বলে। এই খতিয়ানে যার নামের সম্পত্তি তার নাম ও মৌজার নাম, জমির দাগ নং, পরিমাণ, প্রকৃতি, খাজনার হার ইত্যাদি তথ্য থাকে ।

    বাংলাদেশে অনেক ধরনের খতিয়ান রয়েছে। সব মিলিয়ে প্রায় ৭ ধরণের খতিয়ান। সবচেয়ে জনপ্রিয় খতিয়ান হল সিএস, এসএ এবং আরএস খতিয়ান। এছাড়াও বিআরএস, এস এ, দিয়ারা এবং পেটি খতিয়ানও উল্লেখযোগ্য।

    সাধারণ কথায়, যখন কোন ভূমি জরিপ করা হয় তখন ভূমি মালিকের মালিকানা নিয়ে যে বিবরণ প্রস্তুত করা হয় তাকে “থতিয়ান” বলে। মৌজার উপর ভিত্তি করে খতিয়ান প্রস্তুত করা হয়। এই খতিয়ান এর সকল তথ্য অনলাইনে পাওয়া যায়। অনলাইনে জমির খতিয়ান অনুসন্ধান করা খুব সহজ একটি প্রক্রিয়া।

    মৌজা কাকে বলে?

    জমির হিসাব সহজ করার জন্য সারাদেশের জমিকে বিভিন্ন ভাগে ভাগ করা হয়। এক বা একাধিক গ্রাম, ইউনিয়ন, পাড়া, মহল্লা আলাদা আলাদা করে বিভিন্ন এককে ভাগ করে করা হয়, এই প্রতিটা ভাগকে ক্রমিক নাম্বার দিয়ে প্রকাশ করা হয়।

    অর্থাৎ অনেক গুলো জরিপ / ক্যাডষ্টাল জরিপ করা হয় তখন থানা ভিত্তিক এক বা একাধিক গ্রাম, ইউনিয়ন, পাড়া, মহল্লা আলাদা করে বিভিন্ন এককে ভাগ করে ক্রমিক নাম্বার দিয়ে চিহ্নিত করা হয়েছে। এই একেকটা ভাগ কে একটি করে মৌজা বলে। খুব সহজে বের করে নিন অনলাইনে জমির খতিয়ান অনুসন্ধান।

    আমাদের দেশের মৌজার সংখ্যাই হল আমাদের দেশের গ্রামের সংখ্যা। মৌজা ছাড়া কোন গ্রামকে গ্রাম বলা হয় না।

    খতিয়ান অনুসন্ধান করার নিয়ম

    অনলাইনে জমির খতিয়ান অনুসন্ধান করার জন্য সর্বপ্রথম আপনাকে “https://www.eporcha.gov.bd/” ওয়েবসাইট ভিজিট করতে হবে। মেনু অপশন থেকে খতিয়ান অপশনটি সিলেক্ট করতে হবে। এরপর খতিয়ানের ধরন নির্ধারণ করতে হবে। এরপর ঠিকানা এবং দাগ নম্বর প্রদান করে জমির খতিয়ান দাগ ও মালিকানা তথ্য খুব সহজে পাওয়া যাবে। 

    এছাড়া যদি সরাসরি খতিয়ান অনুসন্ধান করতে চান, তাহলে আপনার এলাকার ভূমি অফিসে কর্মরত কর্মকর্তাদের সহযোগিতা নিতে হবে। প্রয়োজনীয় তথ্য তাদের প্রদান করলে তারা জমির খতিয়ান অনুসন্ধান করে দিবে।

    অনলাইনে দুই ভাবে খতিয়ান অনুসন্ধান করা যায়। 

    ● ভূমি মন্ত্রণালয়ের অফিসিয়াল ওয়েবসাইট থেকে। 

    ● “ই খতিয়ান” নামক মোবাইল অ্যাপ্লিকেশন থেকে । 

    জমির খতিয়ান অনুসন্ধান

    খুব সহজে অনলাইন থেকে খতিয়ান অনুসন্ধান করার জন্য আপনার কিছু প্রয়োজনীয় তথ্য জানা থাকতে হবে। অনলাইনে জমির খতিয়ান অনুসন্ধান করার সময় এই তথ্য গুলো প্রদান করে খতিয়ান নাম্বার বের করতে হবে। 

    জমির খতিয়ান অনুসন্ধান করতে যে সকল তথ্য গুলো প্রয়োজন‌তা হলো:

    ● বিভাগ,

    ● জেলা,

    ● উপজেলা, 

    ● মৌজা/গ্রাম 

    ● দাগ নং খতিয়ান নং/ জমির মালিকের নাম

    উপরের তথ্যগুলো প্রধানের মাধ্যমে বাংলাদেশ ভূমি মন্ত্রণালয়ের অফিসিয়াল ওয়েবসাইট থেকে অথবা অফিসিয়াল এপ্লিকেশন থেকে জমির খতিয়ান এবং জমির মালিকের নাম যাচাই করতে পারবেন খুব সহজে। 

    অনলাইনে জমির খতিয়ান অনুসন্ধান এর ধরণ 

    ১. বিএস- বাংলাদেশ সার্ভে (Bangladesh Survey)

    ২. বিআরএস- বাংলাদেশ সার্ভে (Bangladesh Survey) এর সংক্ষিপ্ত রূপ

    ৩. সিএস- খতিয়ানটি হলো ভারত উপমহাদেশের প্রথম জরিপকৃত খতিয়ান,

    ৪. আরএস- Revisional Survey রিভিসনাল সার্ভে,
     
    ৫. এস এ- ব্রিটিশ শাসনামলে ১৮৮৯ সাল থেকে ১৯৪০ সাল পর্যন্ত এই খতিয়ান করা হয়,

    ৬. দিয়ারা - দরিয়া সম্পর্কিত জরিপ, হঠাৎ জেগে উঠা নতুন ভূখন্ড (চর) নিয়ে যে জরিপ করা হয়,

    ৭. পেটি - কোন কোন সময় নির্দিষ্ট এক বা একাধিক মৌজা বিচ্ছিন্ন ভাবে জরিপ করার দরকার হয়।


    কিভাবে আর এস খতিয়ান অনুসন্ধান করবো? 


    আর এস মানে হল Revisional Survey। আমাদের দেশের যখন এস এ খতিয়ান সার্ভে করা হয় তখন অনেক রকম সমস্যা দেখা দেয়। সরকার তখন সিদ্ধান্ত নেয় মাঠ পর্যায়ে গিয়ে খতিয়ান যাচাই করবে।

    এর পর সরকার মাঠ পর্যায়ে গিয়ে আগের খতিয়ান পুনরায় যাচাই বাচাই এর মাধ্যমে নতুন খতিয়ান করা হয়। এই খতিয়ানকে আর এস খতিয়ান বলা হয়। সামান্য কিছু নিয়ম ফলো করে খুব সহজে আর এস খতিয়ান অনুসন্ধান করা যায়।

    আসুন জেনে নেওয়া যাক অনলাইনে জমির খতিয়ান অনুসন্ধান কিভাবে করতে হয়।


    ১। প্রথমে, https://www.eporcha.gov.bd এই লিংকে ক্লিক করুন। আপনার ব্রাউজারে একটি উইন্ডো ওপেন হবে।

    কিভাবে আর এস খতিয়ান অনুসন্ধান করবো?

    আর এস সার্ভে খতিয়ান অনুসন্ধান


    আর এস সার্ভে খতিয়ান অনুসন্ধান

    এইটা ভূমি মন্ত্রনালয় একটি সেবা সেবামূলক একটি ওয়েবসাইট।

    ২। আর এস খতিয়ান অনুসন্ধান করার জন্য “সার্ভে খতিয়ান” অপশনে ক্লিক করুন।

    ৩। নিচে একটি টেবিল ওপেন হবে।

    ৪। প্রথমে, আপনার বিভাগ সিলেক্ট করুন, এরপর জেলা, এরপর থানা সিলেক্ট করুন।

    ৫। খতিয়ানের ধরণ অপশনে আর এস অপশন সিলেক্ট করুন।

    ৬। এরপর আপনার এলাকার আর এস খতিয়ানের ভিতরে যে মৌজা গুলো রয়েছে তার একটা লিস্ট চলে আসবে।

    ৭। এরপর আপনার মৌজা সিলেক্ট করুন। মৌজা সিলেক্ট করলে আপনার মৌজার সকল আর এস খতিয়ান এর নাম চলে আসবে।

    ৮। ওই মৌজার অন্তরভুক্ত সকল মালিকের নাম চলে আসবে। যার নামের আর এস খতিয়ান অনুসন্ধান করতে চাচ্ছেন তার নামের উপর ডাবল ক্লিক করুন।

    ৯। এর পর ওই ব্যাক্তির নামে যে যে দাগ নাম্বার এর জমি আছে, এই দাগ নাম্বার গুলো আসবে।

    ১০। আপনি অনলাইন বা সরাসরি খতিয়ান গ্রহন করতে চাইলে “খতিয়ান আবেদন” এ ক্লিক করুন।

    ১১। এর পর আপনাকে পরবর্তী পেজে নিয়ে যাবে।

    খতিয়ান আবেদন ফরম


    ১২। এই পেজে আপনাকে ২টি ধাপে কিছু তথ্য প্রদান করতে হবে। প্রথম ধাপ, আপনার তথ্য যাচাই করতে হবে। আপনার জাতীয় পরিচয় পত্র নাম্বার ইংরেজি, জন্ম তারিখ, নাম, ফোন নাম্বার এবং একটি ক্যাপচা সমাধান করে “যাচাই করুন” বাটনে ক্লিক করুন। আপনার জাতীয় পরিচয় পত্রের তথ্য সঠিক থাকলে পরবর্তী ধাপে যেতে পারবেন।

    ১৩। পরবর্তী ধাপে, আপনার ইমেইল নাম্বার, ঠিকানা প্রদান করতে হবে।

    ১৪। আপনি ২ ধরনের আর এস খতিয়ান নিতে পারবেন। এক, অনলাইন কপি, দুই, সার্টিফাইড কপি। যদি সার্টিফাইড কপি নিতে চান, সে ক্ষেত্রে দুইটা অপশন আসবে। ডাক যোগে নিতে পারেন, আবার সরাসরি অফিসে গিয়ে নিতে পারেন।

    ১৫। ডাক যোগে নিতে চাইলে আপনার দেওয়া ঠিকানায় চলে আসবে।

    ১৬। এরপর, বিকাশ নগদ, রকেট, উপায় বা এক পে এর মাধ্যমে ১০০ টাকা পরিশোধ করে পরবর্তী ধাপ (ফি পরিশোধ) বাটনে ক্লিক করলে, আপনার আবেদনটি সম্পূর্ণ হবে। আপনার মেইলে অনলাইন আর এস খতিয়ান পাঠিয়ে দেওয়া হবে।

    ১৭। এভাবেই অনলাইনে জমির খতিয়ান অনুসন্ধান করতে হয়।

    কিভাবে খতিয়ান অনুসন্ধান এস এ করবো?

    এস এ মানে হল State Acquisition Survey। ১৯৫০ সালে সরকার ভূমির যে খতিয়ান এর সার্ভে করে তাকে এস এ খতিয়ান বলে। এই খতিয়ানে অনেক ভূল দেখা দেয়, এই জন্য পরবর্তী সময়ে আর এস খতিয়ান করা হয়।

    অর্থাৎ এস এ খতিয়ান কে আবার পুনরায় যাচাই ও বাচাই করা হয়। সামান্য কিছু নিয়ম ফলো করে খুব সহজে এস এ খতিয়ান অনুসন্ধান করা যায়। আসুন জেনে নেওয়া যাক অনলাইনে জমির খতিয়ান অনুসন্ধান কিভাবে করতে হয়।

    ১। প্রথমে, https://www.eporcha.gov.bd এই লিংকে ক্লিক করুন। আপনার ব্রাউজারে একটি উইন্ডো ওপেন হবে।

    খতিয়ান অনুসন্ধান এস এ

    খতিয়ান অনুসন্ধান এস এ

    খতিয়ান অনুসন্ধান


    এইটা ভূমি মন্ত্রনালয় একটি সেবা সেবামূলক একটি ওয়েবসাইট।

    ২। এস এ খতিয়ান অনুসন্ধান করার জন্য “সার্ভে খতিয়ান” অপশনে ক্লিক করুন।

    ৩। নিচে একটি টেবিল ওপেন হবে।

    ৪। প্রথমে, আপনার বিভাগ সিলেক্ট করুন, এরপর জেলা, এরপর থানা সিলেক্ট করুন।

    ৫। খতিয়ানের ধরণ অপশনে আর এস অপশন সিলেক্ট করুন।

    ৬। এরপর আপনার এলাকার এস এ খতিয়ানের ভিতরে যে মৌজা গুলো রয়েছে তার একটা লিস্ট চলে আসবে।

    ৭। এরপর আপনার মৌজা সিলেক্ট করুন। মৌজা সিলেক্ট করলে আপনার মৌজার সকল আর এস খতিয়ান এর নাম চলে আসবে।

    ৮। ওই মৌজার অন্তরভুক্ত সকল মালিকের নাম চলে আসবে। যার নামের আর এস খতিয়ান অনুসন্ধান করতে চাচ্ছেন তার নামের উপর ডাবল ক্লিক করুন।

    ৯। এর পর ওই ব্যাক্তির নামে যে যে দাগ নাম্বার এর জমি আছে, এই দাগ নাম্বার গুলো আসবে।

    ১০। আপনি অনলাইন বা সরাসরি খতিয়ান গ্রহন করতে চাইলে “খতিয়ান আবেদন” এ ক্লিক করুন।

    ১১। এর পর আপনাকে পরবর্তী পেজে নিয়ে যাবে।

    খতিয়ান আবেদন ফ্রম

    ১২। এই পেজে আপনাকে ২টি ধাপে কিছু তথ্য প্রদান করতে হবে। প্রথম ধাপ, আপনার তথ্য যাচাই করতে হবে। আপনার জাতীয় পরিচয় পত্র নাম্বার ইংরেজি, জন্ম তারিখ, নাম, ফোন নাম্বার এবং একটি ক্যাপচা সমাধান করে “যাচাই করুন” বাটনে ক্লিক করুন। আপনার জাতীয় পরিচয় পত্রের তথ্য সঠিক থাকলে পরবর্তী ধাপে যেতে পারবেন।

    ১৩। পরবর্তী ধাপে, আপনার ইমেইল নাম্বার, ঠিকানা প্রদান করতে হবে।

    ১৪। আপনি ২ ধরনের আর এস খতিয়ান নিতে পারবেন। এক, অনলাইন কপি, দুই, সার্টিফাইড কপি। যদি সার্টিফাইড কপি নিতে চান, সে ক্ষেত্রে দুইটা অপশন আসবে। ডাক যোগে নিতে পারেন, আবার সরাসরি অফিসে গিয়ে নিতে পারেন।

    ১৫। ডাক যোগে নিতে চাইলে আপনার দেওয়া ঠিকানায় চলে আসবে।

    ১৬। এরপর, বিকাশ নগদ, রকেট, উপায় বা এক পে এর মাধ্যমে ১০০ টাকা পরিশোধ করে পরবর্তী ধাপ (ফি পরিশোধ) বাটনে ক্লিক করলে, আপনার আবেদনটি সম্পূর্ণ হবে। আপনার মেইলে অনলাইন আর এস খতিয়ান পাঠিয়ে দেওয়া হবে।

    কিভাবে খতিয়ান অনুসন্ধান বি এস করবো?

    বি এস মানে হল Bangladesh Survey। ১৯৯৮ সালে সরকার ভূমির যে খতিয়ান এর সার্ভে করে তাকে বি এস খতিয়ান বলে। বর্তমান পর্যন্ত বি এস খতিয়ান কার্যকর আছে। সামান্য কিছু নিয়ম ফলো করে খুব সহজে বি এস খতিয়ান অনুসন্ধান করা যায়। আসুন জেনে নেওয়া যাক।

    ১। প্রথমে, https://www.eporcha.gov.bd এই লিংকে ক্লিক করুন। আপনার ব্রাউজারে একটি উইন্ডো ওপেন হবে।

    খতিয়ান অনুসন্ধান বি এস

    বি এস খতিয়ান অনুসন্ধান

    বি এস খতিয়ান অনুসন্ধান

    এইটা ভূমি মন্ত্রনালয় একটি সেবা সেবামূলক একটি ওয়েবসাইট।

    ২। বি এস খতিয়ান অনুসন্ধান করার জন্য “সার্ভে খতিয়ান” অপশনে ক্লিক করুন।

    ৩। নিচে একটি টেবিল ওপেন হবে।

    ৪। প্রথমে, আপনার বিভাগ সিলেক্ট করুন, এরপর জেলা, এরপর থানা সিলেক্ট করুন।

    ৫। খতিয়ানের ধরণ অপশনে আর এস অপশন সিলেক্ট করুন।

    ৬। এরপর আপনার এলাকার বি এস খতিয়ানের ভিতরে যে মৌজা গুলো রয়েছে তার একটা লিস্ট চলে আসবে।

    ৭। এরপর আপনার মৌজা সিলেক্ট করুন। মৌজা সিলেক্ট করলে আপনার মৌজার সকল আর এস খতিয়ান এর নাম চলে আসবে।

    ৮। ওই মৌজার অন্তরভুক্ত সকল মালিকের নাম চলে আসবে। যার নামের আর এস খতিয়ান অনুসন্ধান করতে চাচ্ছেন তার নামের উপর ডাবল ক্লিক করুন।

    ৯। এর পর ওই ব্যাক্তির নামে যে যে দাগ নাম্বার এর জমি আছে, এই দাগ নাম্বার গুলো আসবে।

    ১০। আপনি অনলাইন বা সরাসরি খতিয়ান গ্রহন করতে চাইলে “খতিয়ান আবেদন” এ ক্লিক করুন।

    ১১। এর পর আপনাকে পরবর্তী পেজে নিয়ে যাবে।
    বি এস খতিয়ান অনুসন্ধান আবেদন ফরম

    ১২। এই পেজে আপনাকে ২টি ধাপে কিছু তথ্য প্রদান করতে হবে। প্রথম ধাপ, আপনার তথ্য যাচাই করতে হবে। আপনার জাতীয় পরিচয় পত্র নাম্বার ইংরেজি, জন্ম তারিখ, নাম, ফোন নাম্বার এবং একটি ক্যাপচা সমাধান করে “যাচাই করুন” বাটনে ক্লিক করুন। আপনার জাতীয় পরিচয় পত্রের তথ্য সঠিক থাকলে পরবর্তী ধাপে যেতে পারবেন।

    ১৩। পরবর্তী ধাপে, আপনার ইমেইল নাম্বার, ঠিকানা প্রদান করতে হবে।

    ১৪। আপনি ২ ধরনের আর এস খতিয়ান নিতে পারবেন। এক, অনলাইন কপি, দুই, সার্টিফাইড কপি। যদি সার্টিফাইড কপি নিতে চান, সে ক্ষেত্রে দুইটা অপশন আসবে। ডাক যোগে নিতে পারেন, আবার সরাসরি অফিসে গিয়ে নিতে পারেন।

    ১৫। ডাক যোগে নিতে চাইলে আপনার দেওয়া ঠিকানায় চলে আসবে।

    ১৬। এরপর, বিকাশ নগদ, রকেট, উপায় বা এক পে এর মাধ্যমে ১০০ টাকা পরিশোধ করে পরবর্তী ধাপ (ফি পরিশোধ) বাটনে ক্লিক করলে, আপনার আবেদনটি সম্পূর্ণ হবে। আপনার মেইলে অনলাইন আর এস খতিয়ান পাঠিয়ে দেওয়া হবে।

    পরিশেষে

    বাংলাদেশের সরকারি বিভিন্ন সেবা গ্রহণ অনেক ঝামেলা এবং সময় সাপেক্ষ। বর্তমানে তথ্যপ্রযুক্তি যুগে বাংলাদেশ কোনভাবেই পিছিয়ে নাই। প্রতিটি সেক্টরে আধুনিকতা নিয়ে আসার সাথে সাথে আমাদের দেশের ভূমি জাতীয় সমস্যা গুলোকেও আধুনিকরণ করা হচ্ছে।

    বর্তমানে খুব সহজে জমির খতিয়ান অনুসন্ধান, অনলাইনে জমির খতিয়ান অনুসন্ধান, নামজারি খতিয়ান অনুসন্ধান, আর এস খতিয়ান অনুসন্ধান, বিএস খতিয়ান অনুসন্ধান সহ আরো অনেক বিষয়ে সেবা প্রদান করে আসছে বাংলাদেশ ভূমি মন্ত্রণালয়। আশা করি, ভূমি সম্পর্কিত বা খতিয়ান সম্পর্কিত সকল সমস্যার সমাধান আমি এই পোস্টে দেওয়ার চেষ্টা করেছি।

    সর্বাধিক জিজ্ঞাসিত প্রশ্নাবলী


    ১নং খতিয়ান কি?

    উত্তরঃ ১নং খতিয়ানভুক্ত সকল জমি খাস জমি। সকল খাস জমি সরকারি সম্পত্তি।

    খতিয়ান এর অর্থ কি?

    উত্তরঃ এক বা একাধিক গ্রাম, পাড়া, মহল্লা নিয়ে একটা নির্দিষ্ট জমির হিসেব রাখা হয়। সহজভাবে তথ্য অনুসন্ধান করার জন্য এই ভাগ গুলো করা হয়। একেই খতিয়ান বলে।

    খাস জমির মালিক কে?

    উত্তরঃ বাংলাদেশের সকল খাস জমির মালিক সরকার। কিন্তু সরকারের থেকে মানুষ ৯৯ বছরের জন্য লিস নিতে পারে।

    কত বছর খাজনা না দিলে জমি খাস হয়ে যায়?

    উত্তরঃ সরকারি নীতিমালা অনুযায়ী টানা ৩ বছর খাজনা না দিলে জমি খাস হয়ে যায়। তবে আমাদের দেশে এমন হয় না। একটি জমি যখন বেচা কেনা করা হয় ঠিক তখনই ওই জমির খাজনা প্রদান করা হয়।

    আর এস খতিয়ান কত সালে করা হয় ?

    উত্তর: ১৮৮৮ সাল থেকে ১৯৪০ সাল এর মধ্যে করা হয়।

    বাংলাদেশের খতিয়ান কিভাবে চেক করব?

    উত্তর: স্থানীয় ভূমি তহশিল এবং ডিসি অফিসের মাধ্যমে খতিয়ান চেক করা যাবে।

    Tags

    একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

    0 মন্তব্যসমূহ
    * Please Don't Spam Here. All the Comments are Reviewed by Admin.